সোশ্যাল মিডিয়ার দৌলতে আলাপ। এরপর সেই বন্ধুত্ব গড়ায় প্রেমে। ধীরে ধীরে ঘনিষ্ঠ হওয়ার পর একাধিকবার সহবাস করেন সেই যুগল। কিন্তু এখন প্রেমিকাকে বিয়ে করতে অস্বীকার করছেন প্রেমিক। তাই সম্পর্কের যাবতীয় প্রমাণপত্র নিয়ে এবার বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়ির সামনে ধরনায় বসলো যুবতী। শনিবার ঘটনাটি ঘটেছে মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুর এক নম্বর ব্লকের কুশিদা গ্রাম পঞ্চায়েতে রানীপুরা গ্রামে।
জানা গিয়েছে তিন বছর আগে ফেসবুকে আলাপ হয় রানীপুরা গ্রামের বাসিন্দা মোহাম্মদ নেহাল পারভেজ এবং কুশিদা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার এক যুবতীর। এরপর ধীরে ধীরে বন্ধুত্ব গড়ায় প্রেমের দিকে।
দুজনের সম্মতিতেই একাধিকবার ঘনিষ্ঠ হন যুগল। আর পাঁচটা যুগলের মত তারাও একে অপরকে কথা দিয়েছিলেন কখনো না ছেড়ে যাওয়ার এবং সারা জীবন একসঙ্গে থাকার। কিন্তু বিধি বাম। হঠাৎই মন ঘুরে যায় মোহাম্মদ নিহালের। বিয়ে করবেন না বলে বেঁকে বসেন তিনি। তার আগে অবশ্য নানান অজুহাতে বিয়ে করার কথা এড়িয়ে যেতেন ওই যুবক। কিন্তু এখন সরাসরি বিয়েতে অস্বীকার করছেন তিনি। তাই এবার বিয়ের দাবি নিয়ে প্রেমিকের বাড়ির সামনে ধরনায় বসল যুবতী।
অভিযোগকারী ওই যুবতীর দাবি, দীর্ঘদিন ধরে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে তার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করেছে মহম্মদ নিহাল পারভেজ। কিন্তু বিয়ের কথা উঠতেই যুবতীকে এড়িয়ে চলতে শুরু করে ওই যুবক। এমনকি বাড়ির লোক ও তাদের সম্পর্কের কথা জানা সত্ত্বেও তারাও অস্বীকার করছেন এখন বিয়ের প্রস্তাবে। তাই শেষ পর্যন্ত সে ধরনায় বসার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে জানান।
এদিকে ওই যুবকের পরিবারের তরফে জানানো হয়েছে, তারা ছেলের প্রেমের সম্পর্কে কিছুই জানতেন না। বরং পরিবারের আরও দাবি তাদের ছেলে নাবালক তাই এখন কোনমতেই বিয়ে দেওয়া সম্ভব নয়। পাশাপাশি পরিবারের তরফে পাল্টা অভিযোগ করে বলা হয়েছে এর আগেও এই মেয়েটি তাদের বাড়িতে এসেছিল এবং তাদের নামে হরিশ্চন্দ্রপুর থানায় মামলাও করেছিল। বর্তমানে তাদের ছেলে দিল্লিতে রয়েছে। তাই মেয়েটির সঙ্গে যোগাযোগ থাকার কোন বিষয় নেই বলে জানাচ্ছেন তার পরিবার। এদিকে ধরনার খবর পেতেই ঘটনাস্থলে আসেন হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিশ এরপর ওই যুবতীকে এবং ছেলের বাবাকে থানায় নিয়ে যাওয়া হয় বলে খবর।
- TAGS
- সোশ্যাল মিডিয়া
- সহবাস
- ধরনা